
অনলাইন ডেস্ক : সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ নিয়ে কানাডায় অবস্থানরত ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদার (পিকে হালদার) এখন দেশে ফিরতে চান। একই সঙ্গে দেশে ফিরে তিনি থাকতে চান কোর্ট হেফাজতে।
গত সোমবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চে এমন আবেদন দাখিল করা হয়েছে। ঐ আবেদনে বলা হয়েছে, দেশে ফিরে পিকে হালদার ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিনিয়োগকারীদের যে টাকা নিয়ে গেছেন তা উদ্ধার করে তিনি ফেরত দিতে চান। এজন্য দুদক বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে থাকতে চান আদালতের হেফাজতে।
শুনানির এক পর্যায়ে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের কৌঁসুলির উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট বলেন, পিকে হালদার কবে কখন কোন ফ্লাইটে দেশে ফিরতে চান সেটা আদালতকে অবহিত করুন। আমরা চাই বিনিয়োগকারীরা যেন তাদের অর্থ ফেরত পায়। তবে ঐ আবেদনের ওপর প্রয়োজনীয় আদেশ দেওয়ার আগে অ্যাটর্নি জেনারেল ও দুদকের বক্তব্য গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছে আদালত।
এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের পক্ষে মাহফুজুর রহমান মিলন শুনানি করেন।
রিলায়েন্স ফিন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকা অবস্থায় আত্মীয়স্বজনকে দিয়ে ৩৯টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন পিকে হালদার। এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে থাকা ৮৩ জনের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে কৌশলে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি ও তার সহযোগীরা। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকেই ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে। এসব অর্থ নিয়ে তিনি পাড়ি জমান কানাডায়। সেখান থেকে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের পরিচালনা পর্ষদের কাছে একটি চিঠি দেন পিকে হালদার।
ঐ চিঠিতে বলা হয়, তিনি এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে যে অর্থ রয়েছে তা ফেরত দিতে দেশে আসতে চাই। কিন্তু দেশে আসলে তাকে গ্রেফতার করা হলে সমস্যার সমাধান হবে না। এরপরই ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের এমডির পক্ষ থেকে হাইকোর্টে আবেদন দাখিল করা হয়। গত ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্টের এক আদেশে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের চেয়ারম্যান, এমডি, পিকে হালদারসহ ১৩ পরিচালক এবং পিকে হালদারের মা, স্ত্রী, ভাইসহ ২০ জনের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দ, সব সম্পদ ক্রোক করার নির্দেশ দেওয়া হয়।